পেকুয়া সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় মুহাম্মদীয়া আনোয়ারুল উলুম আহমদিয়া হেফজ খানার জন্য দেয়া জায়গা জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের নতুনঘোনা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রাজাখালী নতুন ঘোনা এলাকার বাসিন্দা হাজী জহির আহমদের পুত্র প্রবাসী হাজী আনোয়ার হোছাইন প্রায় ১৮ বছর পূর্বে তার চাচা কবির আহম্মদের কাছ থেকে রাজাখালী মৌজার এক একর জায়গা ক্রয় করে দীর্ঘদিন ভোগ দখলে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই ক্রয়কৃত জায়গার আলাদা আলাদাভাবে খতিয়ানও সৃজিত হয়েছে। বর্তমানে সেখানে তিনি একটি হেফজ খানাও প্রতিষ্টা করেছেন।
সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, স্থাণীয় একটি চক্র হেফজখানার জন্য দেয়া ২০ শতক জায়গার মধ্যে ৬ শতক জায়গা জবর দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ভুক্তভোগী হাজী আনোয়ার হোছাইনের স্ত্রী আয়েশা বেগম অভিযোগ করেন, স্থাণীয় মৃত আবুল কাশেম প্রকাশ (কাছিম আলী’র) পুত্র আজম উদ্দিন আজু তার ভাই নুরুল হক ও মোহাম্মদ হোছন মিলে আমাদের জায়গা দখল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা ইতিমধ্যেই উক্ত জায়গায় সিমানা বেঁড়া দিয়ে কিছু অংশ দখল করে নিয়েছে। তারা অতীতেও জায়গা দখল ও চাদাঁবাজি করতে চাইলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। জায়গা নিয়ে বারবার তারা আমাদের হয়রানী করতে চাইলে আমরা আদালতের আশ্রয় নিই মহামান্য আদালত কাগজ পত্র বিবেচনা করে আমাদের পক্ষে রায় দেন। কিন্ত তা তোয়াক্কা না করে আজ আবার জায়গাটি দখল চেষ্টা করেছেন তারা। আমরা দখলে বাঁধা দিতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সামনে তারা আমাদের মারধর করার চেষ্টা করেছেন। আমরা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে পেকুয়া থানার স্বরনাপর্ণ হই।
হাজী আনোয়ার হোছাইনের পুত্র জাকারিয়া বলেন, আমরা সকালে ওঠে দেখি আমাদের হেফজ খানার জায়গাটি তারা বাঁেশর বেঁড়া দিয়ে দখল করতে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা অন্য জায়গা থেকে লোক এনে আমাদেরকে অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন। তিনি এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এদিকে স্থাণীয় ইউপি সদস্য হোসেন শহিদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমি যতটুকু জানি এটি আয়েশা বেগমদের খরিদা জমি। এটি নিয়ে অন্য পক্ষ দাবি করলেও প্রকৃত পক্ষে কাগজ পত্র বিচারে জায়গার মালিক আয়েশা বেগম। আজকে অন্য পক্ষ দখল চেষ্টা করেছেন বলে খবর পেয়েছি। তবে যতটুকু জানি প্রকৃত মালিক আয়েশা বেগমের পরিবার।
খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে বিরোধীয় জায়গায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।