সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
কোস্ট একর্ড প্রকল্পের সম্প্রসারিত কার্যক্রম সম্পর্কে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও অংশীজনদের সাথে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১ নভেম্বর স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশন, দাতা সংস্থা মাল্টিজার ইন্টারন্যশনাল-জার্মানির অর্থায়নে উখিয়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে এ সভায় একর্ড প্রকল্পের সম্প্রসারিত কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয় ও কার্যক্রমের উপর মতামত গ্রহন করা হয়।
এসময় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ প্রকল্পের কার্যক্রমকে জনমূখী ও কার্যর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে উপকারভোগীদের অগ্রগতি প্রশংসনীয়, তবে সদস্য সেলেকশন প্রক্রিয়া কি ছিলো ও কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয় করা হয় কিনা, এসকল বিষয় জানতে চান। এছাড়াও তিনি অন্যান্য ইউনিয়নে কাজের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান। বক্তব্যের এক পর্যায় তিনি সবকিছু গঠনমূলক উপায় করার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিসার ডাঃ পলাশ চন্দ্র রায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুল আলম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল মাহমুদ হোসেন, সুজনের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার, কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা রিতা বালা, উপজেলার ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা জাফর আলম, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মুফিদুল আলম সিকদার, অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিক আজাদ, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ।
অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হলো- একর্ড প্রকল্পের সম্প্রসারিত কার্যক্রম সম্পর্কে অংশীজনদেরকে জানানো ও মতামত গ্রহনের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রমকে তরান্বিত করা।
পন্ডিতপাড়ার অধিবাসী একর্ড প্রকল্পের জনসংগঠনের নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি কোস্ট একর্ড প্রকল্পের সাথে যুক্ত হওয়ার পরে পারিবারিক উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি, আমরা হাঁস-মুরগী পালনের উপর প্রশিক্ষণ পেয়েছি। এছাড়াও এককালিন আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৭৭০ টাকা পেয়েছি যা দিয়ে আমি হাঁস-মুরগী পালন করছি। বর্তমানে আমার ২৪ টি কবুতর, ২০ টি মুরগি ও ছাগল রয়েছে এছারা আমি সবজি উৎপাদন করি যা থেকে বিক্রি করে আমি মাসে ৫-৬ হাজার আয় করি।’
কোস্ট একর্ড প্রকল্পের শিউলি দলের ক্যাশিয়ার মোসাঃ মরিয়ম জোবাইদা বলেন, ‘আমাদের দলের সকলে কৃষি ও প্রাণি বিষয়ক প্রশিক্ষণ পেয়েছি, অনেকে সেলাই, অনেকে টুপি তৈরি ও ক্ষুদ্র ব্যবসার উপর প্রশিক্ষণ পেয়েছি। বর্তমানে আমরা দলীয়ভাবে গ্যাসের ব্যাবসা করি এর পূর্বে আমরা গরু পালন করে ৮ হাজার ৬শত টাকা লাভ করি।”
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে আমরা দলগত সঞ্চয় করি ও দূর্যোগ তহবিল করি।’