নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রামু রশিদ নগরের পানির ছরা এলাকায় আদালতের আদেশ অমান্য করে গিয়াস উদ্দিন নামের প্রবাসীর জমি দখলে নিতে বসতবাড়িতে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন ৮ নং ওয়ার্ডের ধলিরছরা দক্ষিণ নাসিরাপাড়া এলাকার মৃত গুরা মিয়ার ছেলে।
রশিদনগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মাছুমের নেতৃত্ব ৭ জন মিলে ঘটনাটি ঘটায় বলে জানান গিয়াস উদ্দিনের বোন সামিনা ইয়াসমিন।
তবে, ঘটনায় অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়েও প্রতিকার পাননি বলেও জানান তিনি।
সামিনা ইয়াসমিন জানান, বুধবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তাদের বসত ভিটায় ও টিনের বাউন্ডারিতে আগুন লাগিয়ে দেন আব্দুল খালেক মাছুম ও তার সহযোগিরা। তাৎক্ষণিক ৯৯৯ এ কল করেন। সহযোগিতা পান নি। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
তিনি আরো জানান, আদালতের রায়ের পরেও খতিয়ানভুক্ত জমি দখলের জন্য বারবার চেষ্টা করতেছে। আইনের কোন তোয়াক্কা করছে না। দখলবাজিতে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
মসজিদের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখলে নিতে দফায় দফায় হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালাচ্ছে আব্দুল খালেক মাছুমসহ একটি চক্র।
গত ১৪ অক্টোবর মধ্যরাতে বসতভিটায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল বলে জানান সামিনা ইয়াসমিন।
ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও কোন ব্যাবস্থা নেয়নি পুলিশ।
উল্টো বিভিন্ন হামলা, হয়রানী, ভাঙ্গচুর ও জীবন নাশের হুমকি দেয় মাছুমসহ তার সহযোগীরা।
এর আগে প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মাছুম ও তার পিতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন সামিনা ইয়াসমিন। যার মামলা নং ৩৩২/২১।
একই জমিতে ১৪৪ ধারার আদেশ চেয়ে মামলা করেন তিনি। যার এমআর মামলা নং-২২২২/২১। এই মামলার অনুবলে গত ২ নভেম্বর দ্বিতীয় পক্ষকে প্রবেশে চূড়ান্তভাবে বারিত
আদেশ দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট মোঃ আবু সুফিয়ান।
আদালতের এই রায় অমান্য করে বিরোধীয় জমি দখলে নিতে অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে ফিরে রামু থানার এস.আই শাহাদাৎ জানান, ভোর রাতে আগুন দেয়ায় ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কোন প্রত্যক্ষদর্শীকে পান নি। তবে আগুনে পুড়া কিছু টিন ও ছাই দেখতে পেয়েছেন। কারা আগুন দিয়েছে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ারুল হোসাইন জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়টি দীর্ঘদিনের। দুই পক্ষের বিতর্ক রয়েছে। একেকজন একেক কথা বলে।
তবে সর্বশেষ অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি খাস জমি ও সড়ক বিভাগের জমি দখলের বিষয়কে কেন্দ্র করে ঘটেছে।
অভিযোগ তদন্ত করতে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মাছুম।
তিনি জানান, মসজিদের জায়গা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি। যা আদালতে রায় হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ড, ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে নি।
এ বিষয়ে এমপি সাহেব, সাদ্দাম ভাইয়েরাও জানেন।
তবু অসম্মানি করতে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, দাবি করেন আব্দুল খালেক মাছুম।