মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার পৌরসভার নাগরিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হবে। প্রাথমিক এসেসমেন্টে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স যা নির্ধারণ হয়েছে, তা শুনানী, যাচাই বাচাই করার জন্য রিভিউ কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। রিভিউ কমিটির সংধোধিত হোল্ডিং ট্যাক্সের প্রস্তাব বিবেচনা করে পৌর নাগরিকেরা ট্যাক্স আদায় করতে পারবেন।

কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এবিসি ঘোনা চেয়ারম্যান ঘাটাস্থ মসজিদে বায়তুল্লাহ কমপ্লেক্সে শুক্রবার ২৫ নভেম্বর জুমার নামাজ পরবর্তী মুসল্লীর উদ্দ্যেশে রাখা বক্তব্যে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান একথা বলেন।

মেয়র মুজিবুর রহমান আরো বলেন, কক্সবাজার পৌরভবন নান্দনিক স্থাপত্য ডিজাইনে পূণ নির্মান করা হবে। পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলা হবে। কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সময়োপযোগী ও আধুনিক করে সম্প্রসারণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার পৌরসভায় গত ৪ বছরে ৩ শত কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে। আরো কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড পৌর এলাকায় চলমান রয়েছে।

কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরা, এবিসি ঘোনা, বাঁচা মিয়ার ঘোনা, সমিতি বাজার, টেকনাফ পাহাড় ইত্যাদি এলাকার রাস্তা, নালা নর্দমা, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলো উন্নয়নে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। মেয়র মুজিবুর রহমান এসময় স্থানীয় জনসাধারণের দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, এবিসি ঘোনা মাসজিদে বায়তুল্লাহ’র সামনে হয়ে দক্ষিণ পাহাড়তলী ইছুলুর ঘোনা পর্যন্ত প্রধান সড়কের বিকল্প সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

মেয়র মুজিবুর রহমান আরো বলেন, মসজিদে বায়তুল্লাহ কমপ্লেক্স উন্নয়নে দ্রুততম সময়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এসময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার পৌরসভার প্রকৌশল শাখার কর্মকর্তাদের তিনি তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন।এজন্য তিনি মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দকে পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রকৌশল শাখার সাথে যোগাযোগ করার আহবান জানান।

এসময়, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মমতাজুল হক, মতোয়াল্লী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী, কোষাধ্যক্ষ মাস্টার নরুল আলম, সদস্য মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ কাউসার, সহকারী ইমাম আবদুর রহিম, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম ওয়াজেদ সহ প্রচুর মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন।