চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর শিশু আয়াত খুনের ঘটনায় খন্ডিত মাথা উদ্ধার করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দেখা গেলো মাথার চুলে আটকে আছে সে চুলের ক্লিপও।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) আকমল আলী স্লুইচ গেইট এলাকার সাগরপাড় থেকে পলিথিন মোড়ানো মাথাটি উদ্ধার করে পিবিআই ও স্থানীয় কয়েকজন যুবক।

আয়াতের খন্ডিত মাথা উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পিবিআইয়ের এসআই জাহেদ সুমন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষনিক এই এলাকাটিতে আয়াতের খন্ডিত দেহ খুঁজছিলাম। সকাল ৯টায় কয়েকজন যুবক স্লুইচ গেইটের সাগড় পাড় থেকে পলিথিন মোড়ানো মাথাটি দেখতে পেয়ে আমাদের জানালে আমরা মাথাটি উদ্ধার করি।’

সাগর পাড় পর্যন্ত মাথাটি কিভাবে গেল- এমন প্রশ্নের জবাবে সুমন বলেন, ‘আমরা গতকাল স্লুইচ গেইটি খুলেছিলাম। তখন আমরা আয়াতের দুইটি পা উদ্ধার করি। হয়ত স্লুইচ গেইটের নিচ দিয়ে ভাটার টানে মাথাটি সাগড় পাড়ে গিয়ে আটকায়।’

এর আগে আয়াতের খুনের মামলার আসামি আবীর জানায়, সে স্লুইচ গেইটের পাশের একটি খালে আয়াতের দুই পা ও মাথাসহ মোট তিনটি পোটলা ছু্ঁড়ে ফেলে ছিলো। আবিরের সেই তথ্যর ভিত্তিতে স্লুইচ গেইটসহ এর আশপাশের খালগুলোতে একাধিকবার অভিয়ান চালায় পিবিআই।

সর্বশেষ বুধবার (৩০ নভেম্বর) স্লুইচ গেইটের নিচ থেকে আয়াতের দুইটি পা উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার উদ্ধার হলো মাথাটি। তবে এখনো উদ্ধার করা যায়নি আয়াতের হাত ও বুকের অংশটি।

প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত।

পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে আকমল আলী সড়ক থেকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করা হয় আবিরকে।

পরবর্তীতে শিশু আয়াতকে হত্যার পর মোট ছয় খন্ডে কেঁটে আলাদা আলাদা প্যাকেট করে সাগরে ও নদীতে ফেলে দেয় খুনিরা।