রামু প্রতিনিধিঃ

রামু তেচ্ছিপুল এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দেলোয়ার হোসাইন নামে এক আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। গত ২মার্চ আসামী দেলোয়ার হোসেন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক আসাদ উদ্দিন মোহাম্মদ আসিফ এর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিনের আবেদন করলে জামিন নাকচ করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৯ফেব্রুয়ারী রবিবার দুপুর আনুমানিক দেড় টায় মোহাম্মদ রাসেল এর মায়ের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে চাষাবাদকালে নবী আলম গং এর নেতৃত্বে অবৈধ ভাবে বাধা সৃষ্টি করে।

বোরো চাষে পানির সেচ দেয়ার প্রাক্কালে নবী আলম ও শাহ জালালের এর নেতৃত্বে ১৭/১৮ জনের সংঘবদ্ধদল অবৈধ অস্ত্রে-সস্ত্রে মোঃ রাসেল ও মোঃ সোহেল’কে অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় সন্ত্রাসীরা ধারালো কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মোঃ রাসেল, মোঃ সোহেলকে মারাত্মক জখম করতে থাকিলে তারা আসামীদের নিকটে প্রাণে বাঁচার আকুতি জানিয়ে শোর-চিৎকার করে। এসময় তাদেরকে উদ্ধারের জন্য ইমরানুল হক, পারভিন আক্তার, শাহিদা আক্তার ও কামরুল ইসলাম এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামরা চালায়।

বর্তমানে হামলায় আহত মোঃ রাসেল এর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় হামলার শিকার ব্যক্তিরা রামু থানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এজাহার দিলে ২৩ফেব্রুয়ারী জি.আর-৮৩/২৩ইং রামু থানার মামলার নং ৪০ রুজু হয়

এই মামলার ৬নং আসামী দেলোয়ার হোসেন জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে মামলা অন্যতম আসামী নবী আলম, শাহাজালাল আলম, মোঃ আরমান ও নাছির উদ্দিন এলাকায় বীরদর্পে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

বাদীর অভিযোগ দেলোয়ারকে জেল হাজতে পাঠানোর পর থেকে তারা বেপরোয়া হয়ে মামলার বাদী মোহাম্মদ সোহেলসহ সাক্ষীদের প্রতিনিয়ত প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে তারা স্বাভাবিক জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকায় আছে

মামলার সাক্ষী আবু তালেব ছোটন জানান, ঘটনার দিন আসামীরা দিন দুপুরে প্রকাশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় মোহাম্মদ রাসেল ও মোঃ সোহেলসহ অন্যান্যদের উপর হামলা চালালে আমিসহ স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে নবী আলম গংরা আমাকেসহ অন্যান্য স্বাক্ষীদের প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের হুমকিতে আমরা বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম আশঙ্কায় আছি।

এদিকে মামলার বাদী সোহেল জানান, নবী আলমসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা রাতারাতি অবৈধ ব্যবসার আদলে গাড়ি বাড়ির মালিক বনে যায়।

ফলে তারা বর্তমানে কোন অপরাধ সংঘটিত করতে একেবারেই দ্বিধাবোধ করেনা

টাকার জোরে তারা সমাজে যেকোনো অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় সচেতন মহল, এসব অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারে অভ্যস্ত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে এলাকার জনজীবনে শান্তি ফিরে এনে পরবর্তীতে এমন জঘন্যতম প্রাণহানির মতো ঘটনা না ঘটে সে দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানান।