এম বশির উল্লাহ •

দীর্ঘ ৬ বছর পর মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন হলো গতকাল। কিন্তু শান্তি-শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়নি এ সম্মেলন। কাউন্সিল অধিবেশনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সভাপতি প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাজেদুল করিম এবং কাউন্টার প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান গ্রুপের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। শান্তি-শৃঙ্খলার সম্মেলন শেষ হলো মারামারি দিয়ে। তবুও হয়নি কমিটি। শেষমেশ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিতে হলো যুবলীগকে৷ যদিও কক্সবাজার জেলায় ইতিপূর্বে যুবলীগের ঘোষিত অধিকাংশ উপজেলা কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবেই সংগঠিত করা হয়েছে৷

গতকাল সোমবার ১৩ মার্চ সকাল ৯টায় উপজেলা আ.লীগ কার্যালয়ের মাঠে শুরু হওয়া কাউন্সিল অধিবেশন প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও মহেশখালীর সন্তান এড. সিরাজুল মোস্তফা, সম্মানিত অতিথি কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক,জেলা যুবলীগ সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর,সাধারন সস্পাদক সোহেল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক তারেক বীন ওসমান শরিফ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ইশতিয়াক আহমেদ জয়, গিয়াস উদ্দিন আজম ও জেলা উপজেলার নেতাকর্মীরা ৷

কাউন্সিল অধিবেশনে প্রার্থীদের সমঝোতায় আনতে চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। কাউন্সিলরদের আপত্তি থাকায় এ কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। এদিকে মহেশখালীই একমাত্র উপজেলা যেখানে ৮টি ইউনিয়নের ৭২টি ওয়ার্ডে জাঁকজমকভাবে সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড কমিটি গঠিত হয়েছে। অন্যদিকে মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের এ সম্মেলনে ৭ জন সভাপতি ৬ জন সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার প্রার্থিতা ঘোষনা দিলেও শেষতক মাঠে দেখা গেছে সভাপতি প্রার্থী সাজেদুল করিম, একই পদে মোহাম্মদ শাহাজান, সাধারণ সম্পাদক পদে মিফতাহুল করিম বাবু ও এড. শেষ কামালকে।

মহেশখালী উপজেলার তৃনমুল নেতারা জানান, মহেশখালীর ৮ ইউনিয়নে শান্তি ও শৃঙ্খলার কাউন্সিল অধিবেশন শেষ করে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনে নিজেরাই করলেন উশৃঙ্খলতা। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। পরিস্থিতি যা দেখা যাচ্ছে তাতে নতুন কেউ নেতৃত্ব আসবে বলে মনে হয়না। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলনে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু নতুনদের সুযোগ দেওয়া জরুরি। কেন্দ্রীয় নেতারা যদি কমিটিতে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদদের জায়গা দেন তাহলে দলেরই উপকার হবে বলে মনে করেন তৃনমুলের নেতাকর্মীরা।