বিগত ২৮/০২/২০২৩ ইং তারিখে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কর্তৃক বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে একটি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।যাহা সম্পূর্ণ বেআইনী ভাবে পরিচালিত হয়েছে প্রতীয়মান হয়। এনজিও সংস্হা বেলা কর্তৃক মহামান্য হাইকোর্টে দায়ের কৃত রিট মামলা নং -৮৩২৫/১৪ মামলার নির্দেশনা প্রতিপালনের দোহাই দিয়ে উক্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে জানা যায়।উক্ত নির্দেশনায় মহামান্য হাইকোর্ট সি,এস, জরীফকে ভিত্তি ধরে কক্সবাজার ও ঝিলংজা মৌজার অন্তর্গত বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখলদারদের নাম তালিকাভুক্ত করে উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসক কক্সবাজারকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।সিএস জরীফ আপ টুডেট নাই জানিয়ে এবং ততকারনে নির্দেশনা তামিল করতে অপারগতা প্রকাশ করিয়া আর, এস, জরীপের আলোকে তালিকা প্রণয়নের জন্য আদেশ সংশোধনের প্রার্থনা করিয়া সাবেক জেলা প্রশাসক মহোদয় মহামান্য হাই কোর্টের উক্ত মামলায় একখানা আবেদন করেন।যাহা মহামান্য হাই কোর্টে বর্তমানে পেন্ডিং আছে। এমতাবস্হায় মহামান্য হাইকোর্টের পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা না করিয়া বর্তমান জেলাপ্রশাসক মহোদয় অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হইয়া বা অতি উৎসাহী হইয়া মনগড়াভাবে আরএস এবং বিএস ধরেই আমার বসতবাড়ি সহ অনেক লোকজনের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে পথে বসিয়ে দিয়েছেন। যাহা প্রশাসনিক ক্কমতার অপব্যবহার এবং সম্পুর্ন অমানবিক হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, আমার বসতভিটার কিছু অংশ বিএস মতে বাঁকখালি নদীর সিকস্তি জমি হয়।উক্ত জমি আর এস মতে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। তাদের নিকট হইতে আমি খরিদ করিয়া এস,এ, এন্ড টি এক্ট এর ৮৬(৫)ধারা মতে মহামান্য হাইকোর্ট ও মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নিকট হইতে রায় ডিক্রি অর্জন করি। যাহা সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছেন এবং জেলা প্রশাসক কক্সবাজারকে আমার নামে খতিয়ান করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। তৎমতে বিএস খতিয়ানে লিপিবদ্ধ নদী শ্রেনী সংশোধন করে আমার বসত বাড়ির জমিকে বাড়ি /ভিটি হিসাবে শ্রেনী পরিবর্তন করা হয়েছে।
সর্বোপরি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ২২/৮/২০১৯ ইং তারিখের সভায় এবং জেলা ভু-সম্পত্তি জবর দখল সংক্রান্ত ২৩/০৭/২০১৭ইং তারিখের অনুষ্টিত সভায় আর এস জরীপের নকশা ধরেই বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা হাল নাগাদ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। অধিকন্তু মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের সিপিএলএ মামলা নং-৩০৩৯/২০১৯ নং মামলার রায়ে সমগ্র দেশের নদী গুলোর সীমানা পরি চিহ্নিত করার সময় প্রথমে সিএস অতঃপর আরএস জরীফকে ভিত্তি ধরার এবং অন্য কোন ভাবে নয় মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এমতাবস্হায় আমার উক্ত জমি নদীর জমি হিসাবে সাব্যস্হ করা আইনগত ভাবে আর কোন সুযোগ নাই। তাছাড়া উক্ত জমি হতে আমাকে উচ্ছেদ না করার জন্য মাননীয় যুগ্ম জেলা জজ কক্সবাজার এর আাদালতের অপর মামলা নং -৪৯/২০০৮, মহামান্য হাইকোর্টের সিভিল রিভিশন নং-২৭১২/২০০১,মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের সিভিল আপীল মামলা নং-৩৪৪/২০১৯ মামলায় সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে।
এই সব কিছু অমান্যতা করেই মিড়িয়া কাভারেজ পাওয়ার জন্য অথবা কারো দ্বারা প্ররোচিত ও প্রভাবিত হইয়া জেলা প্রশাসন আমাদের উপর এই নিষ্ঠুর আচরণ করেছে।আশা করি আমার এই লিখা দ্বারা সাংবাদিক ভাইরা সহ সাধারণ জনগণের ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হবে এবং আমাদের প্রতি সদয় হবেন। খোদা হাফেজ।
এড. আবদুল খালেক চৌধুরী
চেয়ারম্যান, শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ, মহেশখালী, কক্সবাজার।