সিবিএন ডেস্ক:
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ থেকে ১৫ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আশরাফ হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
মো. আশরাফ হোসেন বলেন, আজকে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত একটি পদযাত্রা ছিল। ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল থেকে শুরু হয়ে পথযাত্রাটি আসার কথা ছিল সিটি কলেজ পর্যন্ত। খুব শান্তিপূর্ণভাবে তারা শুরু করেছিল। প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার লোক ছিলেন পদযাত্রায়। সামনের সারিতে যে সব নেতা-কর্মীরা ছিলেন তারা খুব ভালো আচরণ করেছেন। এ পর্যন্ত (সায়েন্সল্যাব) এসে তাদের যা করার কথা ছিল তাই করেছেন। সব সিনিয়র লিডাররা চলে যায়।
উপ-কমিশনার আরও বলেন, ‘পদযাত্রা শেষের সারির থেকে কিছু ছেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা ইট-পাটকেল মারে। ব্যানারের লাঠি দিয়ে পুলিশকে লাঠিপেটা করে। পুলিশও পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে। এরই মধ্যে তারা বিআরটিসি একটি বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাসের গ্লাস ভাঙে।’
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার বলেন, সংঘর্ষ আমাদের বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি তারা না করলেও পারত। এখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
পুলিশ কত রাউন্ড ফাঁকা গুলির ছুড়েছে জানতে চাইলে মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘সেটা এখন বলা যাচ্ছে না। এই ধরনের পরিস্থিতি কন্ট্রোলে আমাদের সিআরপিসি নিয়ম আছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করেছি। যাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি তারা কম করতে পারে।’
সায়েন্সল্যাবে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষসায়েন্সল্যাবে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
এ ঘটনায় সংঘর্ষের ১০ থেকে ১৫ জন আটক করা হয়েছে আছে বলেও জানান উপ-কমিশনার।