শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহরেেণর শিকার তিন বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরের পর থেকে তাদের উদ্ধারে টেকনাফের দমদমিয়ার রাজারছড়া পাহাড়ে অভিযানে নামে র্যাব ও পুলিশ। অভিযানে তিন বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সন্ধ্যার টার দিকে মুঠোফোনের এক ক্ষুদে বার্তায় র্যাব ১৫ কার্যালয় থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন, ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল, কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান। তারা তিনজনই বন্ধু।
অপহরণকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব ও পুলিশ। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে ক্ষুদেবার্তায় জানানো হয়।
স্বজনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, গত মাসের ২৮ এপ্রিল চৌফলদন্ডীর চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল তার জন্য পাত্রী দেখতে অপর দুইবন্ধুকে সাথে নিয়ে টেকনাফে যায়। প্রতিমধ্যে দমদমিয়া এলাকার সড়ক থেকে তাদের বহনকারী সিএনজি থামিয়ে একদল অপহরণকারীরা পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের ভিডিও পাঠায়।
ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি সংস্থায় যোগাযোগ রক্ষা করে। কিন্তু গহীন জঙ্গল এবং অপহরণকারীরা বার বার স্থান পরিবর্তন করায় উদ্ধার এবং কাউকে আটক করা যায়নি। এরই মধ্যে এক লাখ টাকা মুক্তিপণও দেয়া হয়েছে। তবুও তাদের ছেড়ে দেয়নি।
র্যাব থেকে জানানো হয়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করে র্যাব। তার স্বীকারোক্তি মতে বুধবার (২৪ মে) র্যাব ও পুলিশের যৌথ দল তিনজনের সন্ধানে গহীন পাহাড়ে অভিযান শুরু করে। অভিযানে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে মরদেহ বিকৃত হয়ে গেছে জানানো হয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল হালিম বলেন, আটক অপহরণকারী স্বীকারোক্তি মতে গহীন পাড়া থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পাহাড়েই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ মর্গে নেয়া হচ্ছে।