প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
কক্সবাজারের রামু ফতেখাঁরকুল মন্ডল পাড়ার এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিজবাহ’র হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন
কক্সবাজার জেলার অন্যতম অনলাইন মাল্টিমিডিয়া চ্যানেল সিসিএন এর রামু প্রতিনিধি ও রামু এভারেস্ট টিচিং ইনস্টিটিউটের সহকারী শিক্ষক সাংবাদিক রিজন বড়ুয়া (২৩)।
আহত সাংবাদিক রিজন বড়ুয়া জানান, বৃহস্পতিবার ১০ টার দিকে তিনি চেরাংঘাটা থেকে প্রাইভেট শেষ করে হাজারীকুলস্থ তার বাড়ি ফেরার পথে মাইমুন আলী মসজিদের সামনে পৌঁছলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা চিহ্নিত সন্ত্রাসী মেজবাহসহ তার সহযোগীরা হাতুড়ি ও ছুরি নিয়ে তার উপর হামলা করে। এসময় তার পকেটে থাকা নগদ টাকা এবং মোবাইল ছিনতাই করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মেজবাহসহ তার সহযোগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামু ফতেখাঁরকুল মন্ডল পাড়ার বাসিন্দার রমজান আলীর পুত্র সন্ত্রাসী মিজবাহর বিরুদ্ধে জবর দখল, হামলাসহ বিভিন্ন অপকর্মের পাহাড় সমান অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিজবাহ কোমরে সবসময় ধারালো ছুরি থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে রামু থানাসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে শতাধিক অভিযোগ থাকলেও সে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বর্তমানে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আধিপত্য বিস্তার অব্যিহত রয়েছে । তার এহেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অসহায় স্থানীয় নীরহ লোকজন।
এলাকাবাসি সূত্রে জানাযায়, সন্ত্রাসী মিজবাহ এলাকায় বিভিন্ন অপরাধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তার এহেন বখাটে ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগন। তার বিরুদ্ধে একাধিক রামু থানাসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দপ্তরে অভিযোগ থাকার পরও তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ হচ্ছে না। কার অদৃশ্য ছাঁয়া নিয়ে তার এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে সেটি রামুর সচেতন মহল জানতে চাই।
রামুর সচেতন মহল অবিলম্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিজবাহকে গ্রেপ্তার করে তার অত্যাচার থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য রামু থানার ওসি , র্যাব-৭,র্যাব-১৫ এর অধিনায়কের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।